স্পোর্টস ডেস্ক:
অধিনায়ক মুমিনুল হক আউট হওয়ার পর যেন আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেললেন লিটন দাসও। বোল্টের অফ সাইডের বল ব্যাটের কোনায় লাগিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনিও। ফেরার আগে তার নামের পাশে লেখা ছিল ৮৬ রান। বাংলাদেশের দুই সেট ব্যাটসম্যানকে আউট করেন বোল্ট। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৩৭০ রান। ফলে ৪২ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ।
এর আগে তৃতীয় দিনের শুরুতেই তরুণ ব্যাটার মাহমুদুল হাসান ব্যক্তিগত ৭৮ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরার পর অধিনায়ক মুমিনুল হকের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন মুশফিকুর রহিম। শুরুটা ভালোও করেছিলেন। তবে ট্রেন্ট বোল্টের বলে বোল্ড হয়ে মাত্র ১২ রান করে ফিরেছেন মুশফিক।
এরপর আগের দুই উইকেট পাওয়া সেই নিল ওয়াগনারের আবারও উইকেট পান। যেন বাংলাদেশের আশার পালে বিষদাঁত ফুটিয়ে দেন বাঁহাতি এই ফাস্ট বোলার। সাদমান ও শান্তর পর তার শিকার লাল-সবুজের সবচেয়ে ভরসার জায়গা মাহমুদুল হাসান জয়। ২২৮ বলে অনবদ্য ৭৮ রান করে হ্যানরি নিকোলসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই তরুণ তুর্কি।
আগের দিন ৭০ রানে অপরাজিত থাকার পর তৃতীয় দিনে কেবল ৮ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন জয়। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে নেমেই অর্ধশতক হাঁকানোর পর প্রথম ও আরাধ্য সেই শতকের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন এই তরুণ টাইগার ব্যাটার। তবে ওয়াগনার সেটা হতে দেননি। তার বাউন্সারে শেষ পর্যন্ত জয়ের ইনিংসের ইতি ঘটে।
এর আগে প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিন শেষেও স্বস্তিতে টিম টাইগার্স। গতকাল রোববার কিউইদের ৩২৮ রানে আটকে দেওয়ার পর ব্যাট হাতেও ভালো করে সফরকারীরা।
২ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান করে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। মাহমুদুল হাসান জয় ৭০ ও অধিনায়ক মুমিনুল হক ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। এর আগে বে ওভালে ব্যাট হাতে দারুণ শুরু করেন সাদমান ইসলাম। তাকে ভালোভাবে সঙ্গ দেন মাহমুদুল হাসান জয়। দেখেশুনে খেলে ভালোভাবেই এগোচ্ছিলেন তারা। তবে লাঞ্চ বিরতির আগে ওয়াগনারের শিকার হন সাদমান। সাজঘরে ফেরার আগে তিনি করেন ২২ রান।
সাদমান ফিরলেও আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান ও তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন। তবে নাজমুলকেও ৬৪ রানে সাজঘরে ফেরান ওয়াগনার।
এর আগে ৫ উইকেটে ২৫৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে কিউইরা। তবে মিরাজ-শরিফুলের বোলিং নৈপুণ্যে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ব্ল্যাকক্যাপরা। দ্বিতীয় দিন মাত্র ৭০ রান যোগ করতেই বাকি ৫ উইকেট হারিয়ে ৩২৮ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনিংস। মিরাজ ও শরিফুল দুজনই নেন ৩টি করে উইকেট।